১লা ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য ‘কেন্দ্রীয় বাজেট’ পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
বাজেটে বেশ কিছু বড় আর্থিক সংস্কারের চমক দিয়েছেন নির্মলা সীতারামন। কী কী চমক রয়েছে জানতে প্রতিবেদনের শেষ অবধি পড়ুন।
১) ফসল উৎপাদনের জন্য ২২০০ কোটি টাকা ব্যয়-সহ আত্মনির্ভর ক্লিন প্ল্যান্ট প্রোগ্রাম চালু করা হবে।
২) PM আবাস যোজনার বরাদ্দ ৬৬% বাড়িয়ে ৭৯,০০০ কোটি করা হয়েছে।
৩) শহরাঞ্চল পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল স্থাপন করা হবে। টায়ার ২( যে শহর গুলির জন সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ১ লাখের মধ্যে) এবং টায়ার ৩(যে শহর গুলির জন সংখ্যা ২০হাজার থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে) শহরগুলির পরিকাঠামোর উন্নয়নে এই তহবিল ব্যবহার করা হবে।
৪) অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের-সাহায্যার্থে এনটিটি ডিজি লকার স্থাপন করা হবে। ব্যবসায়ী এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলি অনলাইনের সুরক্ষায় তাঁদের বিভিন্ন নথি জমা রাখতে পারবে।
৫) কোডিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেকাট্রনিক্স, আই.ও.টি, থ্রিডি প্রিন্টিং, ড্রোনের মতো নতুন প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যুবকদের দক্ষতা বাড়াতে ‘প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা ৪’ চালু করা হবে।
৬) ৩০টি স্কিল ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার স্থাপন করা হবে।
৭) গ্রামীণ এলাকায় তরুণ উদ্যোগপতিদের কৃষি স্টার্টআপ স্থাপনে উৎসাহ দিতে এগ্রিকালচার এক্সিলারেটর ফান্ড চালু করা হবে।
৮) মৎস্যজীবী, মাছ বিক্রেতা, এবং ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে ৬,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ-সহ প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার একটি নতুন প্রকল্প চালু করা হবে।
৯) স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, কৃষি, জলসম্পদ, অর্থ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং পরিকাঠামোর মতো সরকারি পরিষেবাগুলিকে ব্লক স্তরে পৌঁছে দিতে ব্লক প্রোগ্রাম চালু করা হচ্ছে। এই প্রকল্প দেশের ৫০০টি ব্লকে চালু করা হবে।
১০) তফসিলি উপজাতিদের জন্য আগামী তিন বছরে প্রধানমন্ত্রী PVTG উন্নয়ন মিশন বাস্তবায়িত করার জন্য ১৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
১১) শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য জেলার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলিকে Vibrant Institute of Excellence হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
১২) শিশু-কিশোরদের জন্য একটি National Digital Library স্থাপন করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিষয়ের বই এই গ্রন্থাগারে পাওয়া যাবে।
১৩) গবেষণাগারে তৈরি হিরে ক্ষেত্রের জন্য গবেষণা ও উন্নয়নে অনুদান বরাদ্দ করা হয়েছে।
১৪) ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিন হাইড্রোজেন মিশনের অধীনে ৫ মেট্রিক মিলিয়ন টন বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
১৫) বিকল্প সার এবং রাসায়নিক সারের সুষম ব্যবহারে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে উৎসাহিত করতে পিএম-প্রমাণ (PM-PRANAM) প্রকল্প চালু করা হবে।
১৬) উপকূলরেখা বরাবর এবং লবণাক্ত জমিতে ম্যানগ্রোভ রোপণের জন্য ম্যানগ্রোভ ইনিশিয়েটিভ ফর শোরলাইন হ্যাবিট্যাটস অ্যান্ড টেঞ্জিবল ইনকামস বা মিষ্টি (MISHTI) প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
১৮) আজাদি কা অমৃত মহোৎসবকে মাথায় রেখে মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট চালু করা হবে। ৭.৫% সুদের হারে ২ বছরের মেয়াদে মহিলারা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা রাখা যাবে।
মেয়াদের মধ্যেই এই প্রকল্পে জমা রাখা টাকা আংশিকভাবে তুলেও নেওয়া যাবে।
১৯) নয়া কর কাঠামোয় বছরে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় যাদের, তাদের কোনও কর দিতে হবে না। এর আগে এই সীমা ছিল বছরে ৫ লক্ষ টাকা। এছাড়া নতুন আয়কর কাঠামোয় মোট ছয়টি আয়ের স্ল্যাব ছিল। এদিন স্ল্যাবের সংখ্যা কমিয়ে পাঁচটি করা হয়েছে।
২০) নতুন আয়কর ব্যবস্থাই প্রধান কর ব্যবস্থায় হবে। তবে নাগরিকরা পুরোনো কর ব্যবস্থার সুবিধাও নিতে পারবেন।
১৭) তিন বছরে ৪৭ লক্ষ যুবক যুবতীকে বৃত্তি দিতে একটি সর্বভারতীয় ন্যাশনাল অ্যাপ্রেন্টিসশিপ প্রমোশন স্কিম চালু করা হবে।
২১) খেলনা, বাইসাইকেল, অটোমোবাইল এবং ন্যাপথা-সহ কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক, সেস এবং সারচার্জে সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে।
২২) বৈদ্যুতিন গাড়ির লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরির জন্য যন্ত্রাংশের উপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
২৩) মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত ক্যামেরার লেন্স এবং এর যন্ত্রাংশ কর মুক্ত করা হয়েছে।
২৪) টিভি প্যানেলের অংশগুলির শুল্ক ২.৫ শতাংশে কমানো হয়েছে। বৈদ্যুতিন চিমনি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
২৫) সিগারেটের উপর ন্যাশনাল ক্যালামিটি কন্টিনজেন্ট ডিউটি প্রায় ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।